স্টাফ রিপোর্টার॥ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বরিশল-ঢাকা নৌরুটের বেসরকারি লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিসের কেবিনের জন্য আবেদন বা চাহিদাপত্র জমা নেয়ার ঘোষনা দেয়া হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে এখনো কোন ঘোষনা আসেনি তবে বরিশালের লঞ্চমালিকরা এরইমধ্যে ঘরমুখো মানুষের জন্য কেবিনের চাহিদাপত্র, স্লিপ বা আবেদন নেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছেন। বৃহস্পতিবার সপ্তম রমজান থেকে আগামী ১৫ রমজান পযর্ন্ত এ আবেদন গ্রহন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। স্বচ্ছতার দোহাই দিয়ে বিগত বছরগুলোর থেকে অনেকটা আগেভাগে কেবিনের চাহিদাপত্র নেয়া হলেও যাত্রীরা কবে নাগাদ হাতে টিকিট পাচ্ছেন সে বিষয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত করে কিছু যাচ্ছে না। যদিও এরবাহিরে আগে আসলে আগে পাবেন এই ভিত্তিতেই কিছু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের হাতে সরাসরি টিকিট তুলে দিবেন এবারেও, তবে সেই টিকেটের জন্য অপেক্ষা করতে আরো বেশ কয়েকটা দিন। বরিশালের লঞ্চ কাউন্টারগুলোতে খোজ নিয়ে জানাগেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য বৃহষ্পতিবার থেকে কেবিনের আবেদন স্লিপ জমা নেয়া শুরু করেছে ক্রিসেন্ট শিপিং লাইন্সের সুরভী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। যা চলবে ১০ রমজান পর্যন্ত। অপরদিকে ১০ রমজান (২৭ মে) থেকে ১৫ রমজান (১জুন) পযর্ন্ত প্রাইভ নেভিগেশনের সুন্দরবন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কেবিনের জন্য আবেদনপত্র গ্রহন করবেন। একইসময়ে নিজাম শিপিং লাইন্সের এ্যাডভেঞ্চার লঞ্চ কর্তৃপক্ষও আবেদন গ্রহন করবেন। যে সংক্রান্ত নোটিশ ওই সকল লঞ্চ কাউন্টারে টানিয়ে দেয়া হয়েছে। আবেদনগুলো বরিশাল ও ঢাকার স্ব-স্ব লঞ্চের কাউন্টারে জমা দিতে হবে, আবার ভাগ্যে যদি মেলে তবে কাউন্টার থেকেই সোনার হরিন ক্ষ্যাত টিকিট বুঝে নিতে হবে। এর বাহিরে কীর্তনখোলা, পারাবাত, টিপু, কালাম খান, কামাল, ফারহানসহ বরিশাল-ঢাকা রুটের বাকী লঞ্চগুলোর টিকিট আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে সরাসরি যাত্রীদের মাঝে বিক্রি করা হবে। তবে সরাসরি টিকিট বিক্রি লঞ্চগুলো কবে থেকে শুরু করতে যাচ্ছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এতিকে ধরাবাধা কোন নিয়ম না থাকলেও সরাসরি টিকিট নিতে হলে যাত্রীদের সরাসরি বরিশাল ও ঢাকার স্ব-স্ব লঞ্চের কাউন্টার কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে লঞ্চে হাজির হয়ে নিজেদের মোবাইল নম্বর দিয়ে কেবিন নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন মালিকরা। সুরভী লঞ্চের বরিশাল কাউন্টারের ইনচার্জ নাইমুল ইসলাম জানান, ঈদে ঢাকা থেকে আসা ও বরিশাল থেকে যাওয়ার কেবিনের টিকিটের জন্য আবেদন গ্রহন শুরু করেছেন তারা। আবেদন যাচাই-বাছাই করে যাত্রী সাধারণের মাঝে টিকিট বিতরণ করা হবে। টিকিট বিতরণের তারিখ নির্ধারণ না হলেও যারা টিকিট পাবেন তাদের ফোনে জানিয়ে দেয়া হবে। অপরদিকে পারাবাত লঞ্চ কোম্পানির বরিশালে ইনচার্জ মোঃ সেলিম আহমেদ জানান, তাদের লঞ্চে কেবিনের জন্য আবেদন গ্রহন করা হবে না। তবে নৌ-মন্ত্রনালয়, মালিক সমিতির ও বিআইডব্লিউটিএ এর যৌথ সভার পরে আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে লঞ্চের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সুন্দরবন নেভিগেশনের পরিচালক আকিদুল ইসলাম আকেজ জানান, আগামী ১০ রমজান থেকে ১৫ রমাজার পযর্ন্ত তাদের লঞ্চের কেবিনের জন্য আবেদন গ্রহন করা হবে এবং যাচাই-বাছাই শেষে ৫ জুন থেকে যাত্রীদের মাধ্যে টিকিট বিতরন শুরু করা হবে। চাহিদাপত্র নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের ফলে বিগত সময়েও যেমন টিকিট কালোবাজারির হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছেন এবারেও সেটি সম্ভব হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, কেবিনের থেকে চাহিদা কয়েকগুন বেশি থাকায় লটারীরর মাধ্যমে যাত্রীদের টিকিট দিতে হয়। এজন্য সবাই টিকিট যে পান এমনটাও নয়, তবে আমরা চাই সবাই যেন টিকিট পায় বাড়িতে আসতে পারে কর্মস্থলে ফিরতে পারে।
Leave a Reply